আল্লাহর নামে শুরু করছি।
মানুষ মাত্রই মানুষের উপকার করে। যে ব্যক্তি কারো উপকার করে তার জন্য দোয়া বা কল্যাণ কামনা করা প্রত্যেকেরই উচিত। এ বিষয়ে আমরা সাধারণত সতর্ক হই না। অথচ কেউ কারো উপকার পেয়ে এ দোয়া পড়ার পর শ্রবণকারীও দোয়াকারীর জন্য একটি দোয়া করা জরুরি হয়ে পড়ে। যা জানা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অতিব জরুরি।
হাদিসে এসেছেঃ
উচ্চারণঃ জাযাকাল্লাহু খাইরান
অর্থঃ আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
যদি কারো উপকার করে এবং এর জন্য সে যদি তাকে “জাযাকা-আল্লাহু খাইরন ( ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺧَﻴﺮً ) বলে তাহলে সে যেনো তাঁর প্রতি সর্বোচ্চ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলো। বর্ণনায়ঃ আল তিরমিযী ২০৩৫ শাইখ আলবানী সহীহ আল তিরমিযীতে হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন।
যেটা বলা সুন্নাহঃ পুরুষদের ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য বলা “জাযাকা-আল্লাহু খাইরন ( ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺧَﻴﺮً )” এবং মহিলাদের জন্য বলা “জাযাকি-আল্লাহু খাইরন ( ﺟَﺰَﺍﻙِ ﺍﻟﻠﻪُ ﺧَﻴﺮًﺍ )”।
কিন্তু আমরা দেখি অনেকে শুধু বলে “জাযাকা-আল্লাহ” অথবা শুধু “জাযাক” অথবা শুধু “JZK” এগুলো ব্যবহার উত্তম না। কাজেই এগুলোর পরিবর্তে সুন্নাহের উপর আমল করা উচিত এবং সংক্ষেপ করাকে পরিহার করা উচিত।
যখন উছাইদ ইবনে হাদাইর রদিয়াল্লাহু আনহু রছুলুল্লাহ রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম বললেনঃ
মানুষ মাত্রই মানুষের উপকার করে। যে ব্যক্তি কারো উপকার করে তার জন্য দোয়া বা কল্যাণ কামনা করা প্রত্যেকেরই উচিত। এ বিষয়ে আমরা সাধারণত সতর্ক হই না। অথচ কেউ কারো উপকার পেয়ে এ দোয়া পড়ার পর শ্রবণকারীও দোয়াকারীর জন্য একটি দোয়া করা জরুরি হয়ে পড়ে। যা জানা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অতিব জরুরি।
উপকার বড় হোক আর ছোট হোক উপকারকারীর জন্য দোয়া করতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিখিয়ে গেছেন।
হাদিসে এসেছেঃ
উচ্চারণঃ জাযাকাল্লাহু খাইরান
অর্থঃ আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
যদি কারো উপকার করে এবং এর জন্য সে যদি তাকে “জাযাকা-আল্লাহু খাইরন ( ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺧَﻴﺮً ) বলে তাহলে সে যেনো তাঁর প্রতি সর্বোচ্চ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলো। বর্ণনায়ঃ আল তিরমিযী ২০৩৫ শাইখ আলবানী সহীহ আল তিরমিযীতে হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন।
যেটা বলা সুন্নাহঃ পুরুষদের ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য বলা “জাযাকা-আল্লাহু খাইরন ( ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺧَﻴﺮً )” এবং মহিলাদের জন্য বলা “জাযাকি-আল্লাহু খাইরন ( ﺟَﺰَﺍﻙِ ﺍﻟﻠﻪُ ﺧَﻴﺮًﺍ )”।
কিন্তু আমরা দেখি অনেকে শুধু বলে “জাযাকা-আল্লাহ” অথবা শুধু “জাযাক” অথবা শুধু “JZK” এগুলো ব্যবহার উত্তম না। কাজেই এগুলোর পরিবর্তে সুন্নাহের উপর আমল করা উচিত এবং সংক্ষেপ করাকে পরিহার করা উচিত।
যারা “জাযাকা-আল্লাহু খাইরন” বলে তাদের প্রতি সর্বোত্তম জবাব কোনটি?
যখন উছাইদ ইবনে হাদাইর রদিয়াল্লাহু আনহু রছুলুল্লাহ রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম বললেনঃ
“হে আল্লাহর রসূল, জাযাকা-আল্লাহু খাইরন!”
তখন রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াছাল্লাম বললেনঃ
“ওয়া আনতুম ফা-জাযাকুমু-আল্লাহু খাইরন ( ﻭَﺃَﻧْﺘُﻢْ ﻓَﺠَﺰَﺍﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ)”
অর্থঃ তোমাকেও আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন) (শাইখ আলবানী আল-সহীহার ৩০৯৬ নং হাদিসে একে সহীহ বলেছেন, আল- তা’লিকাতুল হিসান আল সহীহ ইবনে হিব্বান ৬২৩১)।
সঠীক উত্তর হলোঃ “ওয়া আনতুম ফা-জাযাকুমু-আল্লাহু খাইরন ( ﻭَﺃَﻧْﺘُﻢْ ﻓَﺠَﺰَﺍﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ)”।
সঠীক উত্তর হলোঃ “ওয়া আনতুম ফা-জাযাকুমু-আল্লাহু খাইরন ( ﻭَﺃَﻧْﺘُﻢْ ﻓَﺠَﺰَﺍﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ)”।
সতর্ককতা-
আমরা কখনো শুধুমাত্র ‘জাযাকাল্লাহু’ বলবো না। বরং ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলবো। কারণ ‘জাযাকাল্লাহু’ দ্বারা প্রতিদান ভালোও হতে পারে আবার মন্দও হতে পারে। তাই ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলবো।
যখন কেউ জাযাক আল্লাহু খাইরান [বুখারী,হাঃ ৩৩৬; তিরমিযী,হাঃ২০৩৫] - বলে এর জবাবেঃ 'ওয়া আনতুম ফা জাযাকুম আল্লাহ খাইরান ' (এবং আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন) [সহীহ ইবনে হিব্বান,হাঃ ৬২৩১;সহীহ তাহক্বীক আলবানী] বলতে হয়।
বিঃদ্রঃ জাযাক আল্লাহু খাইরান এর পরিবর্তে '' জাযাক '' বা '' জাযাকাল্লাহ '' বলা ঠিক নয় আর এর উত্তর 'ওয়া ইয়াকুম ' বলাও সহীহ হাদিস সম্মত নয়।
আমরা কখনো শুধুমাত্র ‘জাযাকাল্লাহু’ বলবো না। বরং ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলবো। কারণ ‘জাযাকাল্লাহু’ দ্বারা প্রতিদান ভালোও হতে পারে আবার মন্দও হতে পারে। তাই ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলবো।
যখন কেউ জাযাক আল্লাহু খাইরান [বুখারী,হাঃ ৩৩৬; তিরমিযী,হাঃ২০৩৫] - বলে এর জবাবেঃ 'ওয়া আনতুম ফা জাযাকুম আল্লাহ খাইরান ' (এবং আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন) [সহীহ ইবনে হিব্বান,হাঃ ৬২৩১;সহীহ তাহক্বীক আলবানী] বলতে হয়।
বিঃদ্রঃ জাযাক আল্লাহু খাইরান এর পরিবর্তে '' জাযাক '' বা '' জাযাকাল্লাহ '' বলা ঠিক নয় আর এর উত্তর 'ওয়া ইয়াকুম ' বলাও সহীহ হাদিস সম্মত নয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উপকারীর উপকারে সুন্নাতি এ দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ডিজিটাল সিস্টেমে ৫০+ ভাষায় কোরআন পড়ুন ও শুনুন
Post a Comment