একদিন গরম কালে, এক বৃদ্ধা এবং তার স্বামী একসাথে হেটে যাচ্ছিলেন। কিছুদুর যাবার পর বৃদ্ধার হঠাৎ পানির তৃষ্ণা পেল। তিনি সেই জায়গায় বসে পড়লেন এবং স্বামীকে বললেন একটু পানির ব্যবস্তা করার জন্য। স্বামী সাথে সাথে পানি আনতে চলে গেলো ।
কিছু দূর যাবার পর তিনি একটি ছোটপুকুর দেখতে পেলেন, কিন্তু সেখানে মানুষ গোসল করছিল বলে সেখানকার পানি কাদামাটিতে একেবারে ঘোল যা পান করার মোটেও উপযোক্ত নয়।এই দিকে তার স্ত্রী তৃশ্নায় কাতর হয়ে আছে। স্বামী আরো অনেক জায়গায় পানির তালাশ করে ব্যার্থ হয়ে, মন খারাপ করে স্ত্রীর কাছে ফিরে আসল। স্ত্রী স্বামীর মলিন চেহরার দিখে দেখে বুঝতে পারলেন,যে তার স্বামী চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।
তখন স্ত্রী বললেন, এত নিরাশ হয়োনা, একটু ধৈর্য্য ধর, আমাদের কষ্ট দেখর মত আশেপাশে কেউ না থাকলেও, আমাদের হাজারো অপরাদের মাঝেও দয়াকারি,সেই দয়াময় আল্লাহ তো আমাদের সাথেই আছেন, হয়ত আল্লাহ তা’য়ালা তৃষ্নার কষ্টের মাধ্যমে আমাদের একটু ধৈর্যের পরিক্ষা নিচ্ছেন।
স্বামীকে এইসব কথা বলতে বলতে,
স্বামী বললেন,
একটু দাড়াও,
আমি আরেকবার দেখে আসি,কোন ব্যবস্তা করা যায়কিনা। এই বলে স্বামী আবার পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখলেন সেখানে এখন আর কেউ নেয়। এখনকার পানি একেবারেই পরিষ্কার। তৎক্ষণাৎ তিনি তখন স্ত্রীর জন্য পানি আনলেন। পানিটুকু পান করার পর স্ত্রী বললেন, “একটু যদি ধৈর্য ধরো তবে সকল ব্যাপারেই এমন পরিষ্কার কিছু দেখতে পাবে!” এবারে তিনি পানির দিকে লক্ষ্য করে স্বামীকে বললেন, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছিলাম বলেই পরিষ্কার পানি পাওয়া গেছে।
এখানে পানির কোনও পরিবর্তন হয়নি। যেই পানি তুমি দেখে এসেছিলে সেই পানিই তুমি এনেছো। তবে শুধু পার্থক্যহল পানির গুনটা পরিবর্তিত হয়ে গেছে।
জীবন আছেই যখন সমস্যা তো থাকবেই। যে কোন কারন বশত মন খারাপ হতেই পারে। আর তা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে একটু ধৈর্য ধরলে নিরব চিত্তে ভাবলে, অচিরেই মনের অস্থিরতা দূর হয়ে যাবে আর তখন ধীরেধীরে সব কিছুই পরিষ্কার দেখতে পাবেন। জীবন তো একটাই, একটাই তার সুযোগ। যার যার সুখ তারতার কাছেই। আপনার সুখ কখনোই অন্যের হাতে না।
Post a Comment