এক মুসলিম অন্য মুসলিমের প্রতি ৬টি হক রয়েছে। আর ইসলামে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে অন্যের হকের ওপর। হাদিসে এসেছে, কিয়ামতের দিন আল্লাহর সঙ্গে নাফরমানিকে তিনি ক্ষমা করে দেবেন কিন্তু অন্যের হক নষ্ট করলে সে ক্ষমা না করা পর্যন্ত আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না।
মানবাধিকারের গুরুত্ব ইসলামে এত বেশি যে হাদিসে বলা হয়েছে, মানুষ যখন আল্লাহর দরবারে তওবা করে যদি কারও অধিকার তার ওপর থাকে যতক্ষণ সে তাকে রাজি না করবে ততক্ষণ তার তওবা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।
আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেন যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
سِتٌّ، قِيْلَ: مَا هُنَّ يَا رَسُوْلَ اللهِ ؟ قَالَ إذَا لَقِيْتَهُ فَسَلِّمْ عَلَيْهِ، وَ إذَا دَعَاكَ فَأجِبْهُ، وَ إذَا اسْتَنْصَحَكَ فَانْصَحْ لَهُ، وَ إذَا عَطَسَ فَحَمِدَ اللهَ فَشَمِّتْهُ، وَ إذَا مَرِضَ فَعُدْهُ، وَ إذَا مَاتَ فَاتَّبِعْهُ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
একজন মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের ছয়টি হক রয়েছে।
প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর রাসূল ! সেগুলো কি কি ?
বললেন,
১. কোন মুসলমানের সাথে সাক্ষাত্ হলে তাকে সালাম দেয়া।
২. সে যখন তোমাকে নিমন্ত্রণ করবে তা রক্ষা করবে।
৩. উপদেশ চাইলে উপদেশ দিবে।
৪. কোন মুসলমান হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বললে উত্তরে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলে জবাব দিবে।
৫. রোগাক্রান্ত হলে তার সেবা যত্ন করবে।
৬. কোন মুসলমান মূত্যুবরণ করলে তার জানাযায় অংশ নিবে।
সুতরাং প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তিকে বিষয়গুলো লক্ষ রাখা উচিত। গভীরভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে, এই ৬টি বিষয় প্রায় অধিকাংশের ভেতর গরমিল থাকে। অনেক বড় ইবাদত করলেও অন্যের অধিকার বিষয়ে অনেকে অচেতন। যা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুতর অন্যায়। কারণ এই অধিকার লঙ্ঘন করলে ব্যক্তি নিজে মাফ না করলে আল্লাহও মাফ করবেন না।
Post a Comment